মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান খান খোকন সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন ভরপাশা ইউনিয়নের ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সিকদার (৬৫) যার সি আর কেস নং ২৭/২০২৪।
বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সুত্রে জানা যায়, বিএনপির ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ ফজলুর রহমান শিকদারের ছেলে নুরুল ইসলাম সিকদার (৬৫) এর দুধলমৌ দাদুরহাট বাজারে নিজ জমিতে নিজেদের পূর্বের ব্যবসায়িক জায়গায় উন্নয়নমূলক কাজের উদ্দেশ্যে টিন সেট বিল্ডিং দোকান ঘর করার জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট রড এনে জমা করে নির্মাণ করার প্রস্তুতি নেন।
এ সময় আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে, ভয় ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ভরপাশার বিতর্কিত চাঁদাবাজ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আশরাফুজ্জামান খোকন ও তার বড় ভাই আসাদুজ্জামান খান হিরু ৫ লক্ষ্য টাকা চাদা দাবী করেন, চাদা না দিলে দোকান ঘর নির্মাণ করতে দিবেনা বলে জিবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যান।
গত ২৪ শে আগষ্ট ২০২২ খোকন ও তার ভাই আসাদুজ্জামান হিরুর নেতৃত্বে আওয়ামী দলীয় মাসুদ খান,শাহিন খান, জুয়েল মাহমুদ’সহ ১৬-১৭ জন লোক দেশীয় অস্ত্র রামদা চাপাতি, লাঠি সোটা নিয়ে নুরুল ইসলামের বসত ঘরে প্রবেশ করে তাদের দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা চায়। নিরুপায় হয়ে নুরুল ইসলাম জীবন নাশের ভয়ে ২ লক্ষ্য টাকা দেন। তখন চেয়ারম্যান খোকন ও তার ভাই হুমকি দিয়ে বলেন বাকী ৩ লক্ষ্য টাকা না দিলে দোকান নির্মান করতে দিবেনা এমনকি মৃত্যুর হুমকির কথা বলে বসত ঘর থেকে চলে যান।
দুইদিন পরেই ২৭ শে আগষ্ট ২৪ রোজ শনিবার সকাল ৯ ঘটিকায় দোকানের নির্মাণ কাজ শুরু করায় সংবাদ পেয়ে দুপুর ১২ টার দিকে আশরাফুজ্জামান খোকন তার ভাই আসাদুজ্জামান হিরু সহ দলীয় ক্যাডার বাহিনী হাতে দেশীয় রামদা, চাপাতি, কুড়াল জমিতে প্রবেশ করে নির্মাণ কাজের বন্ধ করে দেয়। তখন নুরুল ইসলাম বাধা দিতে চাইলে তাকে’সহ নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে। এবং বাকী ৩ লক্ষ্য টাকা না দিলে নির্মাণ করতে দিবেনা এমনকি মেরে ফেলার ও হুমকি দেয় তারা। এ বিষয়ে জীবন বাঁচানোর ভয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় বাদি পক্ষ মামলা করতে গেলেও বিএনপি করার কারণে এবাং আসামি পক্ষ আওয়ামী লীগ হওয়ার প্রভাবের কারণে মামলা নেয়নি পুলিশ।
গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান এর মুখে সরকার পতন হলে কিছুটা সস্তি ফিরে পেলেও এখনো তারা প্রিয়ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই গত ১৪ ই নভেম্বর নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করলে আদালত বাকেরগঞ্জ থানাকে এফ আই আর নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে বলে জানা যায়।
আসামিরা হলেন- ১/ আশরাফুজ্জামান খোকন, ২/আসাদুজ্জামান খান হিরু,৩/মাসুদ খান,৪/মো শাহিন খান, ৫/জুয়েল মাহমুদ ৬/লিটু হাওলাদার ৭/তারেক হাওলাদার ৮/মিলন হাওলাদার ৯/রিয়াজ হাওলাদার ১০/কোভিদ হাওলাদার ১১/লিটন গাজী ১২/আনোয়ারুল কবির শরীফ ১৩/কাউসার খান ১৪/রনি খান ১৫/গাজী তোফায়েল জামাল গাজী ১৬/রনি হাওলাদার ১৭/মুনতাসির আহমেদ প্রিয় এবং শাহিন খান সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন। উল্লেখ্য এই বিতর্কিত চেয়ারম্যান খোকনের ছত্রছায়ায় বাকি সকল আসামিরা এখনো এলাকায় লুকিয়ে লুকিয়ে নৈরাজ্য চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। বিস্তারিত বাকি অপরাধের ফিরিস্তি দেখতে চোখ রাখুন আগামীর পর্বে…….