বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী রুপাতলীর হাউজিং কাঁচাবাজারের ইজারাদার’দের অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধে প্রচারণা চালিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রুপাতলী বাজার এলাকায় প্রচারণা ও অবহিত করেন ছাত্রদলের পাশাপাশি জনতাও। ছাত্রদলের ২৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আসাদ হাওলাদার ও সহ-সভাপতি জুম্মান আলী সাদ্দামের নেতৃত্বে এ প্রচারণা চালানো হয়।
জানা গেছে,সরকারি নির্দেশনানুযায়ী মাছ-মাংস ও সবজি সহ অন্যান্য দোকান প্রতি খাজনা আদায়ের কথা ৫/ ১০/১৫ টাকা করে কিন্তু প্রতি দোকান থেকে আদায় করছিল ২০০ থেকে শুরু ৩০০ টাকা।সরকারি নিয়ম থাকলেও বাজারে টানানো হয়নি কোন খাজনা চাট ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয় না খাজনা আদায়ের রশিদও।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, ৫ অগাস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পরে ছাত্রদের সহযোগিতায় কিছুটা স্বস্তিতে ব্যবসা করেছি আমরা।কিন্তু নতুন করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন হাট বাজার ইজারা’দেয়। প্রথমে বুঝেছি আগের থেকে খাজনা কম হবে, এবং পরিবার নিয়ে একটু ভালো ভাবে খেয়ে পরে বেছে থাকব।কিন্তু বাজার ইজারার প্রথম দিনেই চিত্র পুরো উল্টো বিগত দিনের থেকে খাজনা আরো বেড়ে গেছে। এটা কল্পনাও করতে পারি নাই। এভাবেই নিজেদের দুঃখের কথা বলছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
নাজমা নামে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন,
‘খোলা জায়গায় চটে বসে আমরা সবজি বিক্রি করি। আমাদের প্রতি চটের (দোকানের) জন্য সরকার–নির্ধারিত খাজনা ৭ টাকা; অথচ আদায় করা হয় ২০০ টাকা।’
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমটাই দাবি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অবিযোগ করে আরো বলেন,
সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে হাট বাজার গুলো ইজারা নিচ্ছেন একটি কুচক্রী মহল।
এতে সরকারি রাজস্ব বাড়লেও তার বোঝা পড়ছে সাধারণ ক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাঁধে। নির্ধারিত খাজনার চেয়ে আট থেকে দশগুন বেশি টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
এদিকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ঘটনায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে নজড়ে আসে ছাত্রদল নেতাকর্মীর। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ব্যবসায়ীদের জিম্মি দশা থেকে মুক্তকরণে প্রচারণা চালান নেতাকর্মীরা। তারা বাজারের প্রবেশ পথে খাজনার সঠিক রেট চার্টের অনুলিপি ও নির্দিষ্ট খাজনা সম্মলিত একটি ব্যানারও স্থাপন করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ২৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাওলাদার, ছাত্রদল নেতা ইউসুফ, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তুহিন খান, নুরুজ্জামান খান জামান প্রমুখ। তারা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। চাঁদাবাজি বন্ধে সকলকে সোচ্চার ভুমিকা পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে বাজার ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ নিজেকে ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্দিষ্ট নিয়মে খাজনা আদায় করা হয়েছে। তবে এর আগে রেট চার্ট হাতে পাইনি ও ব্যবসায়ীরাও তাদের ক্রয়করা পণ্যের তালিকা দেখা না পারায় টাকা উত্তোলন করতে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। এখন রশিদ পেয়েছি। নিয়মানুযায়ী খাজনা আদায় করা হবে।