সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

বরিশালে পৌঁছেছে বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আজ মধ্য রাত থেকে নগরীতে বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা। ভোট গ্রহনের ৩২ ঘন্টা আগে থেকে প্রার্থীরা কোনো সভা-সমাবেশ, নির্বাচনী গণসংযোগ, শোভাযাত্রা, মিছিল করতে পারবেন না।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আইপিও) ৭৮ ধারা অনুযায়ী ভোটের পর আরও দুদিন একই নিয়ম বলবৎ থাকবে। এদিকে যানবাহন চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০ থেকে ১৩ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত নগরীতে সব ধরনের মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

এছাড়া ভোটের আগের দিন অর্থ্যাৎ ১১ জুন মধ্য রাত থেকে ১২ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত সিটি এলাকায় ট্রাক, বাস মিনিবাস, জিপ, মাইক্রোবাস, পিকআপ, কার ও ইজিবাইক চলাচল করতে পারবে না। একই ভাবে ১১ জুন মধ্য রাত থেকে ১২ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত লঞ্চসহ সব ধরনের ইঞ্জিল চালিত নৌ-যান চলতে পারবে না। তবে ভোটারদের ব্যবহারের জন্য ক্ষুদ্র নৌযান চলতে পারবে।

বরিশাল জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ক্ষমতা প্রদান করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে চিঠি প্রদান করা হয়েছে।

নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য। ইতিমধ্যে তারা বরিশালে এসে পৌছেছেন। ভোট গ্রহনের আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত তারা নগরীতে দায়িত্ব পালন করবেন। বরিশাল জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রুম্পা সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন বিজিবির প্রতিটি প্লাটুনের সাথে একজন করে ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে নির্বাচনে নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত,আপিল গ্রহন,শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ এবং নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে ১ম আদালত বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

১২ জুন সকাল ৮ টা থেকে বিরতিহীন ভাবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ১২৬টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে এর মধ্যে ৮৮টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১১টি সাধারণ।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ২০ থেকে ২২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তায় আরও ৪-৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বেশি থাকেন। পাশাপাশি সকল কেন্দ্রেই জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন ...




© All rights reserved ItihaasBarta