বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :

বর্ষার আগমনে জমে উঠেছে শত বছরের পুরোনো নৌকার হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বর্ষার আগমনে জমে উঠেছে পিরোজপুরের শত বছরের পুরোনো নৌকার হাট। জেলার নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর খালে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে এই হাট।

হাটকে কেন্দ্র করে আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়। জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে আশ্বিন পর্যন্ত নৌকা কেনা-বেচার ধুম পড়ে এ হাটে।

আষাঢ় মাসে শুরু হয় ভরা মৌসুম। তখন খালের পানিতে ভেসে চলে বাহারি নৌকার কেনা-বেচা। তবে এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় নৌকার দাম আশানুরূপ নয় বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

মো. সুমন নামে একজন বিক্রেতা বলেন, ‘৪ হাজার টাকার নৌকা ২ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রচুর নৌকা ওঠার কারণে দাম ঠিক পাচ্ছি না। এ বছর বৃষ্টি কম তাই আমরা লসে আছি।’

পেয়ারা ও আমড়া হাটে নেওয়ার জন্য নৌকা কিনতে এসেছিলেন কালাম বেপারী নামে এক ব্যক্তি। এবার নৌকার দাম অনেক কম বলে তিনি জানান। নদীবিস্তৃত এলাকা ও কাঠের সহজ লভ্যতায় এ এলাকায় নৌকার চাহিদা ব্যাপক। চাম্বল, মেহগনি ও রেইন্ট্রি কাঠের নৌকা আসে এখানে। কথা হয় স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে।

তারা জানান, প্রতি সপ্তাহে সোম ও শুক্রবার আটঘরের খালে বসে এ হাট। হাট ইজারা দিয়ে রাজস্ব আয় করে সরকার।

ইজারাদার আব্দুল রহিম বলেন, ‘আমরা এ হাট বছরে ডাকে কিনি। যারা নৌকা কেনে- দাম অনুযায়ী খাজনা রাখি।

খাল-নদীবেষ্টিত স্বরূপকাঠিতে প্রচুর আমড়া ও পেয়ারা হয়। এগুলো হাটে নেওয়ার প্রধান বাহন নৌকা। তা ছাড়া বর্ষায় মানুষের যাতায়াতের প্রধান বাহন হয়ে ওঠে এই নৌকা। ফলে ধনী-গরিব প্রায় সবাই একটা নৌকা রাখে বা রাখার চেষ্টা করে।

 

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার  বলেন, ‘বেশিরভাগ নৌকার দরকার হয় পেয়ারা, আমড়া, মাছ ধরা, গোখাদ্য সংগ্রহে। এ ছাড়া নার্সারি ব্যবসার বিভিন্ন কাজে নৌকার ব্যবহার হয়ে থাকে। ’স্বরূপকাঠি ভাসমান পেয়ারা হাটের জন্য বিখ্যাত। ভাসমান হাটের প্রধান অবলম্বন নৌকা। ভাসমান এই হাট সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মিডিয়ার কল্যাণে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন ...




© All rights reserved ItihaasBarta