বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নে ঈদুল আজহা সামনে রেখে আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে গরু চুরির ঘটনা চলছে গরু চুরি উৎসব। গরু মালিকরা রাত জেগে পাহারা দিয়েও চোর থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। গত ২৬ /২৭ দিনে কলসকাঠী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০টির অধিক গরু চুরি হয়েছে। গরু চুরির ঘটনায় কৃষকরা নিঃস্ব প্রায়।
স্থানীয়রা বলেন, গত ১জুন রাতে ইউনিয়নের ক্ষুদ্র কাঠি তালুকদার বাড়ির জসিম তালুকদারের ঘরের চেতনা নাশক স্পেরে দিয়ে গোয়াল ঘরের তালা কেটে ২ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। ওই ২টি গরুর অনুমানিক দাম প্রায় দুই লাখ টাকা। গত ১২ জুন একই ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদিস গ্রামের আলতাফ হোসেনের বাড়ি থেকে মাহমুদল হকের ২টি বাগদিয়া গ্রামের অমল দাশের ২টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। ওই ৪টি গরুর অনুমানিক দাম প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহ পরও পুলিশ চুরি ঘটনায় কোন আসামি কিংবা চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। গত ২৪ জুন দক্ষিণ নারায়ণগোল গ্রামের বারেক হাওলাদারের বাড়িতে গোয়ালঘরে চারটি গরু ছিলো ।গরু চুরি করতে হানাদেয় চোর চক্র বারেক হাওলাদারের বাড়ির সদস্যরা দেখে ফেলে ও ডাকচিৎকার করে তাদের ডাকচিৎকারে শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসেন তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর চক্র পালিয়ে যায়, ।
তাছাড়া ও গরু চুরির হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেক কৃষক রাতের বেলা গোয়ালঘর থেকে বসত ঘরে গরু নিয়ে রাখছেন। ভূক্তভোগী কৃষক জসিম তালুকদার বলেন, চুরির ব্যপারে থানায় মামলা করে কোন লাভ হবেনা গরু কি ফেরত পাবো।
কলসকাঠী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না জানান, আমার ইউনিয়নে গরু চুরি ঠেকাতে কমিটি গঠন করা হয়েছে প্রতি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ সহ স্থানীয়দের নিয়ে রাতের বেলা পাহারা দিয়েও এলাকায় গরু চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। সংঘবদ্ধ চোরেরা কয়েক ভাগে বিভক্ত। একদিকে থেকে একটি দলকে তাড়া দিতে মানুষ ছুটে আসলে অন্যদিক দিয়ে আরেক দল গরু চুরি করে নিয়ে যায় ।
মোহাম্মদ আলী নামে এক কৃষক বলেন, গ্রামের গরীব কৃষকরা গরু লালন পালন করে জীবন জীবিকা চালায়। অনেক কৃষকের সম্বল বলতে থাকে গরু। সেগুলো চুরি হয়ে গেলে ওই কৃষক পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু চুরির ঘটনা ঘটলে চোরদের সনাক্ত করে গ্রেফতার এবং চুরি রোধে পুলিশের ভুমিকা অনেকটা রহস্যজনক। এভাবে গরু চুরি হতে থাকলে গ্রামে গরিব কৃষক পরিবার গুলো গরু লালন পালন বন্ধ করে দেবে ।এতে কৃষি পরিবার ও দেশ দুইটি অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং বেকারত্ব আরো বাড়তে থাকবে।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিচার ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, গরু চুরি রোধে রাতের বেলা পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দলকে সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।