বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সাম্প্রতিক সময়ে বরিশালে আবারো বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত । কিশোর অপরাধীরা ‘গ্যাং’ বা গ্রুপ সৃষ্টি করে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছে।একে অপরের ক্ষমতা দেখাতে কয়েকজন মিলে পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন নামে গ্যাং গ্রুপ গড়ে তুলছে। আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, মাদক ও প্রেম নিয়ে বিরোধের জেরে তারা অহরহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এই কিশোররা সমাজের মধ্যে নিজেদের মতো করে নতুন এক সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
কিশোর অপরাধীরা আবার বিভিন্ন গ্যাং এর মাধ্যমে তথাকথিত রাজনৈতিক নামধারী কিছু ‘বড় ভাইদের’ আস্কারা পেয়ে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন এ অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরও কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধীদের কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। সারাদেশের ন্যায় বরিশাল নগরীতে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। কিশোর গ্যাংয়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ ও র্যাব এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন অভিভাবক মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল নগরীর বেলসপার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, চৌমাথা লেকপাড়, রুপাতলী বাসস্টান্ড, আমতলার মোড়, দপদপিয়া সেতু,পলাশপুর বৌ-বাজার, দপ্তরখানা, কাটপট্টি, কাউনিয়া, কাশিপুর এলাকাজুড়ে এদের বেশিরভাগ সদস্যদের আনাগোনা।
এ সকল এলাকা গুলোতে প্রশাসনের নজরদারী বাড়ালে কমবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। প্রশাসন এ অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরও কিশোর গ্যাং এর অপরাধীদের কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। হেন অপরাধ নেই যা তারা করছে না।
মাদকের ছড়াছড়ি আর সন্ত্রাসের উপাদানগুলো হাতের কাছে পাওয়ায় কিশোর অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। দ্বিধা করছে না কোন অপরাধ করতে। সাধারণ মানুষের অসহায় এ অবস্থা থেকে মুক্তি না মিললে সমাজে বাস করাও দায় হবে। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর অপরাধীরা। মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হলেও কিশোর অপরাধীদের গ্যাং কালচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রতিটি গ্যাংয়ের নেপথ্যেই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদদ রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় এ সকল অপরাধীরা। রাজনৈতিক নেতাদের উচিত হবে না কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেওয়া। তাদের উচিত শিশু-কিশোরদের অপরাধ থেকে মুক্ত রাখার জন্য কর্মসূচি তৈরি করা। পাশাপাশি সমাজের সচেতন ব্যক্তিবর্গকেও এগিয়ে আসতে হবে। সাধারণ মানুষের অসহায় এ অবস্থা থেকে মুক্তি না মিললে সমাজে বাস করাও দায় হবে। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
এবিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের মনিটরিং সেল কাজ করছে। মেট্রোপলিটন এলাকায় অপরাধ করে পার পাবার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।